১২ ঘণ্টা পানিতে ভেসে থাকতে পারেন হাত-পা বাঁধা অবস্থায়, এ পর্যন্ত ভেসেছেন এক হাজার বার






গামছা দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ৪০ মিনিট সুরমা নদীতে





ভেসে ছিলেন ৯০ বছরের বৃদ্ধ জিতু মিয়া। গত শুক্রবার সুনামগঞ্জের





দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের ছাদিরপুর গ্রামের পাশে তাকে





সুরমা নদীতে ভাসতে দেখা যায়। জানা গেছে, ছাদিরপুর গ্রামের মোকামবাড়ির ঘাটে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে জিতু মিয়ার হাত-পা বেঁধে সুরমা নদীতে ছেড়ে দেন ওই গ্রামের বাসিন্দা ঝুনু মিয়া ও তার ভাতিজা সিজিল মিয়া। এ অবস্থায় জিতু মিয়া পানিতে না ডুবে দীর্ঘ ৪০ মিনিট ভেসে ছিলেন। গ্রামের শত শত মানুষ এ দৃশ্য উপভোগ করেন। এ নিয়ে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। জিতু মিয়া জানান, তার বাড়ি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার কিদিরপুর গ্রামে। তিনি পাঁচ সন্তানের জনক। তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। ছেলেরা নবীগঞ্জ বাজারে ব্যবসা করেন। ৩৫ বছর বয়সে গুরু দেওয়ান মাহবুবের কাছ থেকে নদীতে ভেসে থাকার বিদ্যা অর্জন করেন তিনি। গামছা দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এ পর্যন্ত এক হাজার বার পানিতে ভেসেছেন। শীতকালে একটানা দুই-তিন ঘণ্টা এবং গরমকালে ১০-১২ ঘণ্টা পানিতে ভেসে





থাকতে পারেন তিনি। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় শীতকালে একটানা ২-৩ ঘণ্টা এবং গরমকালে ১০-১২ ঘণ্টা পানিতে ভেসে থাকতে পারেন বৃদ্ধ জিতু মিয়া। এ পর্যন্ত ভেসেছেন এক হাজার বার হাত-পা বাঁধা অবস্থায় শীতকালে একটানা ২-৩ ঘণ্টা এবং গরমকালে ১০-১২ ঘণ্টা পানিতে ভেসে থাকতে পারেন বৃদ্ধ জিতু মিয়া। এ পর্যন্ত ভেসেছেন এক হাজার বার জিতু মিয়া আরও জানান, দেশের বিভিন্ন মাজারে ও শিষ্যদের বাড়িতে ঘুরে বেড়ান। গত শনিবার তিনি দিরাইয়ের ঝুনু মিয়া ওরফে ঝুনু পাগলার দাওয়াতে ছাদিরপুর গ্রামে যান। ঝুনু মিয়া বলেন, তিনি আমার ওস্তাদ। আমি তাকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে এসেছি। এখন আমার বাড়িতে আছেন। তিনি হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ পানিতে ভেসে থাকতে পারেন। ঝুনু মিয়ার ভাতিজা সিজিল মিয়া বলেন, গ্রামের কেউ জিতু মিয়াকে ভয়ে হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলতে রাজি হননি। তখন আমি ও চাচা ঝুনু মিয়া গামছা দিয়ে হাত-পা বেঁধে সুরমা নদীর পানিতে ভাসিয়ে দিই। দীর্ঘ ৪০ মিনিট তিনি নদীর পানিতে ভেসে ছিলেন। এরপর সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় নদী থেকে তীরে চলে আসেন। পরে আমরা তাকে পানি থেকে তুলে আনি। তিনি সুস্থ এবং স্বাভাবিক আছেন। এটা তার অনেক বছরের সাধনা।