পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ






মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা





পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আমলে গ্রহণ করেছেন আদালত।





একই সঙ্গে চার্জ গঠনের জন্য আগামী ১৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।





সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। এদিন সকাল ১০ টা ১৯ মিনিটে পরীমনি আদালতে হাজিরা দিতে উপস্থিত হন। এর আগে, মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় গত ১২ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি পাঠানো হয়। পরদিন ১৩ অক্টোবর আদালত অভিযোগপত্র আমলে গ্রহণের জন্য ২৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। তবে ওইদিন বিচারক ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক রবিউল আলম এ অভিযোগপত্র আমলে গ্রহণের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন। গত ৪ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে





অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযুক্ত অপর দুজন হলেন- আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। গত বছরের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। পরীমনি বিভিন্ন স্থান থেকে এই মামলার দুই আসামির মাধ্যমে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরীমনি তার গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন। গত ৪ আগস্ট অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয়। তার ড্রয়িংরুমের কাভার্ড, শোকেস, ডাইনিংরুম, বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল উদ্ধার করা হয়। তার পরদিন গত ৫ আগস্ট র্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী বিপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় করে। গত ২১ আগস্ট তৃতীয় দফার রিমান্ড শেষে পরীমনিকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত তাকে জামিন দেন।