শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী হচ্ছে দেশ






চলতি বছরে প্রথম চন্দ্রগ্রহণ দেখা যায় ১০ জানুয়ারি। জানা গেছে,





দ্বিতীয় ও শেষ চন্দ্রগ্রহণের দেখা মিলবে ১৯ নভেম্বর। তবে এটি পূর্ণগ্রাস নয়,





আংশিক চন্দ্রগ্রহণ। জ্যোতির্বিদরা জানাচ্ছেন, ১৯ নভেম্বর শুক্রবার ৩ ঘণ্টা ২৮ মিনিট ২৩ সেকেন্ড স্থায়ী হবে এই চন্দ্রগ্রহণ। যা ২০০১ থেকে ২১০০ সালের মধ্যে হতে যাওয়া সব চন্দ্রগ্রহণের মধ্যে দীর্ঘতম। জানা গেছে, ভারতে অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম থেকে সবচেয়ে স্পষ্ট দেখা যাবে এই গ্রহণ। এছাড়া বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চল থেকে ১৯





নভেম্বরের চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। ঢাকায় বিকেল ৫টা ১৩ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৩ মিনিট পর্যন্ত চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, উত্তর ইউরোপ, পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকেও এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। চন্দ্রগ্রহণের সময় যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে পৃথিবী একই সরলরেখায় চলে আসে, তখন পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়ে। ফলে পৃথিবী থেকে মনে হয় চাঁদ ধীরে ধীরে ঢেকে যাচ্ছে। চন্দ্রগ্রহণ প্রায় ঘণ্টাকালীন স্থায়ী হয় কারণ চাঁদ ধীরে ধীরে পৃথিবীর ছায়া অতিক্রম করে। গ্রহণ চলাকালীন চাঁদকে অনেকটা তামাটে বা লালচে চাকতির মতো মনে হবে। এর কারণ হলো সূর্যের কিছু আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্যে দিয়ে বিকরিত হয়ে চাঁদের ওপর পড়ে। অন্যান্য রং বিচ্ছুরিত হলেও লাল রং তুলনামূলকভাবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল দিয়ে প্রতিসরিত হয়ে চাঁদের ওপর পড়ে, এই কারণে গ্রহণের চাঁদকে লাল দেখায়।