শিকলবন্দি বৃদ্ধের আবেদনে স্ত্রী-সন্তানের জামিন






জমি লিখে না দেওয়ায় নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় আব্দুর রাজ্জাক (৯০) নামে এক বৃদ্ধ বাবার পায়ে লোহার শিকল পরিয়ে দেড় মাস





যাবত নিজ বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখে স্ত্রী-সন্তানরা। মানবাধিকার কর্মী ও পুলিশের সহায়তায় বন্দিদশা থেকে উদ্ধার হন। এ ঘটনায় বৃদ্ধ আব্দুর





রাজ্জাক শনিবার রাতে কেন্দুয়া থানায় স্ত্রী ও ৩ সন্তানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরদিন রোববার নিজেই দেড় মাস নিজ গৃহে শিকলবন্দি ও নির্যাতনের কথা ভুলে গিয়ে ঔরসজাত সন্তানের মায়ায় নেত্রকোনা আদালতে হাজির হয়ে স্ত্রী-সন্তানের জন্য জামিনের আবেদন করেন। আদালত বৃদ্ধের আবেদনে স্ত্রী হামিদা আক্তার ও বড় ছেলে সেলিমকে জামিন দেন। বৃদ্ধ আব্দুর রাজ্জাক এখন কেন্দুয়া পৌর সদরে আরামবাগ মহল্লায়





মেয়ের বাসায় আছেন। উল্লেখ্য, সংবাদ পেয়ে স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীদের সহযোগিতায় শনিবার বিকালে কেন্দুয়া থানা পুলিশ উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের মনাটিয়া গ্রাম থেকে বৃদ্ধকে শিকলবন্দি অবস্থা থেকে উদ্ধার করে। এ সময় ওই বৃদ্ধের স্ত্রী হামিদা আক্তার ও বড় ছেলে সেলিমকেও আটক করে পুলিশ। পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৃদ্ধ আব্দুর রাজ্জাকের নামে থাকা বসতবাড়িসহ সমস্ত সম্পত্তি স্ত্রী হামিদা আক্তার ও





তার তিন ছেলেকে লিখে না দেওয়ায় তারা বৃদ্ধ আব্দুর রাজ্জাককে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল। একপর্যায়ে গত ৫ এপ্রিল বৃদ্ধ আব্দুর রাজ্জাকের পায়ে লোহার শিকল পরিয়ে বসতঘরে চৌকির সঙ্গে বেঁধে রাখেন সন্তানরা। ওই বৃদ্ধকে ঈদও করতে দেয়নি তারা। স্থানীয় মানবাধিকারকর্মী ও কল্যাণী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কল্যাণী হাসান বলেন, আমরা পুলিশের সহায়তায় বৃদ্ধ আব্দুর রাজ্জাককে শনিবার বিকালে বসতঘরের এক কোণে পায়ে লোহার শিকল দিয়ে চৌকির সঙ্গে তাকে বেঁধে রাখা অবস্থা থেকে উদ্ধার করি। মানবাধিকারকর্মী শাহ আলী





তৌফিক রিপন বলেন, এ রকম অমানবিক ঘটনা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) কেন্দুয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) তানভীর মেহেদী জানান, মামলার দুই আসামিকে রোববার আদালতে সোপর্দ করা হয়। অন্য দুজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।