Uncategorized

অবশেষে তালেবানের সেই নির্দেশ ‘মানতে বাধ্য হলেন’ উপস্থাপিকারা

তালেবানের নির্দেশনা মেনে অবশেষে টেলিভিশনের পর্দায় মুখ ঢেকেই হাজির হয়েছেন আফগানিস্তানের নারী উপস্থাপিকারা। বিবিসি রোববার এক

প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। আফগানিস্তানে নারী উপস্থাপকদের টেলিভিশনের পর্দায় শনিবার থেকে মুখ ঢেকে হাজির হওয়ার নির্দেশ

দিয়েছিল তালেবান। যদিও শনিবার সেই তাদের মুখ না ঢেকেই টেলিভিশনের পর্দায় হাজির হতে দেখা যায়। কিন্তু রোববার তালেবারের নির্দেশনা মেনে আফগানিস্তানের উপস্থাপিকরা মুখ ঢেকেই হাজির হয়েছেন টেলিভিশনের পর্দায়। বিবিসি জানায়, একজন উপস্থাপিকা বলেছেন টিভিতে কর্মরত নারীরা প্রতিবাদ করলেও তাদের নিয়োগকর্তারা চাপের মুখে পড়ায় তালেবানের নির্দেশ কার্যকর করা হয়েছে। হিজাব এবং মুখ ঢাকা

বোরখা পরা, নারীরা টোলোনিউজ, আরিয়ানা টেলিভিশন, শামশাদ টিভি এবং ওয়ান টিভির মতো জনপ্রিয় চ্যানেল জুড়ে নিউজ বুলেটিন এবং অন্যান্য প্রোগ্রামে উপস্থাপনা ও রিপোর্ট করেছেন বলে বিবিসি জানিয়েছে। টোলোনিউজের উপস্থাপিকা ফরিদা সিয়াল বিবিসিকে বলেন, এটা ঠিক যে আমরা মুসলিম, আমরা হিজাব পরি, আমরা আমাদের চুল ঢেকে রাখি। কিন্তু একজন উপস্থাপকের পক্ষে পরপর দুই বা তিন ঘণ্টা মুখ

ঢেকে এভাবে কথা বলা খুবই কঠিন। তিনি চান এই নির্দেশ প্রত্যাহার করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তালেবানদের ওপর চাপ সৃষ্টি করুক। ফরিদা বলেন, তারা সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবন থেকে নারীদের মুছে ফেলতে চায়। এর আগে জাতিসংঘের আফগানিস্তান মিশনে কাজ করা সকল নারীকে বোরখা পরার নির্দেশ দেয় তালেবান। এর আগে ৭ মে ডিক্রি জারি করে বাইরে বোরখা পরার নির্দেশনা জারি করে তালেবান সরকার। জনসমক্ষে নারীদের মুখ ঢেকে রাখার নির্দেশ দেন আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ নেতা। ওই সময় এ সংক্রান্ত ডিক্রিটি জারি করা হয়। তালেবান প্রধান হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদার জারি করা ওই ডিক্রিতে বলা হয়েছিল- নারীদের একটি চাদোরি (মাথা থেকে পা পর্যন্ত বোরকা) পরা উচিত,

কারণ এটি ঐতিহ্যবাহী এবং সম্মানজনক। ধর্ম প্রচার ও অধর্ম প্রতিরোধ মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র কাবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে শীর্ষনেতা হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদার ডিক্রিটি পড়ে শোনান। ওই ডিক্রিতে বলা হয়েছিল যদি কোনো নারী বোরকা পরার নির্দেশনা না মানেন তাহলে ওই নারীর বাবা-মা ও পুরুষ আত্মীয়দের গ্রেফতার ও শাস্তি দেওয়া হবে।

Related Articles

Back to top button