Uncategorized

১৬-১৭ বছরের মধ্যেই উঠবে পদ্মা সেতুর খরচ

দেশের বহুল প্রতীক্ষিত সবচেয়ে বড় নির্মাণাধীন অবকাঠামো স্বপ্নের পদ্মা সেতু আগামী জুন মাসের শেষে উদ্বোধন হতে হচ্ছে। পদ্মা নদীর বুকে

নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার কোটি টাকায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুর কাজ ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ

হাসিনা। ইতোমধ্যেই সেতুতে গাড়ি পারাপারে টোল নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। একইসঙ্গে কোনো ধরনের গাড়ি এ সেতুতে চলাচল করতে পারবে তাও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। এর পরই অনেকে টোল নিয়ে সমালোচনা শুরু করেছেন। বলছেন, এটি মাত্রাতিরিক্ত টোল। বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সেতুটি নির্মাণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মান বজায় রাখা

হয়েছে জানিয়ে টোল নিয়ে সমালোচনার বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘টোলটা হলো, যখনই যেখানে ব্রিজ করি এর স্ট্যান্ডার্ড হলো ফেরির দেড় গুণ। সেটা ধরেই করা হয়েছে।’ মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ব্রিজ হলো প্রায় ৫ কিলোমিটার আর এটা (পদ্মা সেতু) হলো ৯.৮৬ (সংযোগ সড়কসহ) অর্থাৎ প্রায় দ্বিগুণ। তাছাড়া ফেরির যে চরিত্র, সেটা কিন্তু এক ছিল না। বঙ্গবন্ধু ব্রিজ যখন ফেরিতে ধরা হয়েছে,

১৯৯৫-৯৬ এর টোল ধরে করা হয়েছে। তারপরে দুই বার বাড়ানো হয়েছে। পদ্মায় তো প্রেজেন্ট টোলের রেট ধরে করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘ফেরির যে রেটটা, এটাই হলো জেনারেল প্র্যাকটিস, ১ দশমিক ৫ গুণ, এই জিনিসটা একটু খেয়াল রাখতে হবে। তাও পরবর্তীতে যদি মনে করা হয় যে এটা বেশি হয়েছে…।’বক্তব্য অসমাপ্ত রাখেন সচিব। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘পদ্মা সেতুর টাকা সেতু কর্তৃপক্ষকে ১

শতাংশ হার সুদে সরকারকে ফেরত দিতে হবে। সুতরাং সেতু কর্তৃপক্ষকে ওই জায়গা থেকে টাকা উপার্জন করতে হবে। পৃথিবীর কোথাও এই ধরনের স্থাপনার ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় পয়সা না দিয়ে যাওয়ার কোনো সিস্টেম নেই।’ এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘ফিজিবিলিটি স্টাডিতে যেমন ছিল যে, ২৪ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে টাকাটা (পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয়) উঠে আসবে। এখন মনে হচ্ছে ১৬ থেকে ১৭ বছরের মধ্যেই টাকাটা উঠে আসবে। ওই পাড়ের যেসব কাজকর্ম এবং যেগুলো আছে, সেগুলো ফিজিবিলিটি স্টাডিতে আসেনি। মোংলা পোর্ট যে এত স্ট্রং হবে, পায়রা বন্দর হবে, এত শিল্পায়ন হবে- এগুলো কিন্তু আসেনি। সচিব জানান, ‘ধারণা ছিল পদ্মা সেতু ১ দশমিক ৩ শতাংশ জিডিপি

প্রবৃদ্ধি আনবে। এটা ২ এর কাছাকাছি চলে যাবে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে।’ এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠক হয় মন্ত্রিসভার। সভায় দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।

Related Articles

Back to top button