আলোচিত খবর

যৌন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গা নারীরা

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা নারীদের মধ্যে যৌন ব্যবসায়

জড়িয়ে পড়ার হার ক্রমশ বাড়ছে। আর এর নেপথ্যে রয়েছে দেশীয়

দালাল চক্র। রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ সারাদেশে সক্রিয় এ চক্রটি। গত জুন মাসে কক্সবাজার থেকে পাচারের সময় অন্তত ২১ নারীকে উদ্ধার করা হয়। মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে যৌনকর্মী হিসেবে পাচার করা হচ্ছিল তাদের। এর আগে ১৪ মে উদ্ধার করা হয় ১৭ নারীকে। কক্সবাজারে যৌনকর্মীদের নিয়ে কাজ করে নোঙর নামে একটি স্থানীয় এনজিও। তারা এইচআইভি নিয়ে কাজ করলেও রোহিঙ্গা নারীদের যৌন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে। প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক দিদারুল আলম রাশেদ বলেন, স্থানীয় দালাল চক্র ছাড়াও আগে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের অনেকে এ গোষ্ঠীটির নারীদের নানা উপায়ে যৌন ব্যবসায় বাধ্য

করছে। তাদের দরিদ্রতার সুযোগ নিয়ে এ কাজ করছে তারা। তিনি বলেন, চাকরির নামে বিদেশে যাদের পাচার করা হয় তাদের আসলে যৌন ব্যবসায় নিয়োজিত করা হয়। পাচারের সময় অনেক রোহিঙ্গা নারী উদ্ধার করা হয়। আর এ থেকেই বোঝা যায় যে, কি পরিমাণ রোহিঙ্গা নারী পাচার হয়েছে। চাকরি ছাড়ায়ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রোহিঙ্গা নারীদের যৌন ব্যবসায় নিয়োজিত করা হয়। অনেক রোহিঙ্গা নারী এখানে আসার পর ক্যাম্পের বাইরে থেকেই তাদের যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হয়। তাদের শুধু কক্সবাজার এলাকায় নয়, দেশের অন্যান্য এলাকায় পরিচয় পাল্টে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছে। ঠিক কতজন রোহিঙ্গা নারী যৌন ব্যবসায় জড়িয়েছে তা সঠিকভাবে বলা না গেলেও তাদের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে বলে জানান তিনি। দিদারুল আলম বলেন, বাড়ার কারণ হলো রোহিঙ্গা ক্যাম্প সুরক্ষিত নয়। আর ক্যাম্পের মধ্যেই যৌন ব্যবসার দালালদের নেটওয়ার্ক। কক্সবাজার এলাকার হোটেল ছাড়াও দালালরা যৌন ব্যবসার জন্য বাসা ও বিভিন্ন রেস্ট হাউজও ব্যবহার করে। তবে, রোহিঙ্গা নারীদের যৌন ব্যবসায় নিয়োজিত হওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য নেই স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা নারীরা যৌন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে সে তথ্য তাদের কাছে নেই। তবে ক্যাম্পের ভেতরে তারা যৌন হয়রানির শিকার হন এমন অভিযোগ আমরা পাই। যৌন ব্যবসার ব্যাপারে পুলিশের নজরদারি আছে।

Related Articles

Back to top button