চোখে-মুখে তার ‘বাড়ি ফেরার’ আকুতি






পথ ভুলে ১০ বছর আগে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় চলে যান মানসিক





ভারসাম্যহীন বৃদ্ধা রাবেয়া বেগম। ঘুরতে ঘুরতে তার ঠাঁই হয় উপজেলার





বোথলা গ্রামে। সেই থেকে সেখানেই একটি ঝুপড়ি ঘরে বসবাস। চোখে-মুখে স্বজনদের কাছে ফিরে যাওয়ার আকুতি নিয়ে ঝুপড়ির ফাঁকা অংশ দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকেন তিনি। জানা গেছে, ২০১২ সালের মার্চে ভাণ্ডারিয়া উপজেলার বোথলা গ্রামে যান ৯০ বছর বয়সী রাবেয়া। স্বামী-সন্তানদের নাম, ঠিকানা কিছুই বলতে পারেন না। এমন





অবস্থায় তাকে আশ্রয় দেন বোথলা বাজারের ব্যবসায়ী হেদায়েতুল ইসলাম আকন। নিজ বাড়ির কাছাকাছি একটি পরিত্যক্ত ঝুপড়িতে তার ঘরে থাকার ব্যবস্থা করে দেন। সেই থেকে বৃদ্ধার প্রতিদিনের খাবার দেওয়া ও সেবা করছেন ঐ ব্যবসায়ী। হেদায়েতুল ইসলাম আকন বলেন, বৃদ্ধাকে আমি নানি ডাকি। সবসময় তার খোঁজ রাখি। মাঝেমধ্যে নানি ফ্যাল ফ্যাল করে কাঁদে। ১০ বছরের মধ্যে একদিন অস্পষ্ট ভাষায় বলেছিল- নিজের নাম রাবেয়া, স্বামীর নাম মহারাজ। মেয়েদের নাম মনোয়ারা, রেনু, রাশিদা ও মর্জিনা। ছেলেদের নাম মইনুদ্দিন, আইনউদ্দিন ও বোরহানউদ্দিন। বাবার নাম মজিদ, ভাইদের নাম কাদের, মোয়াজ্জম ও সাদেক। তার বাড়ি ঢাকার কাছাকাছি। এর বেশি কিছু জানতে পারিনি। একবার শুধু বলেছিল- ‘নানু আমাকে একটু বাড়ি পাঠিয়ে দাও’।