যেসকল কারনে পদ হারালেন জায়েদ খান






নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সিদ্ধান্তে আসলেন আপিল বোর্ড।





চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে নিপুনের অভিযোগ আমলে নিয়ে শনিবার





সন্ধ্যা ৬ টা ৩০ মিনিটে চিত্র নায়ক জায়েদ খানেকে তার পদ (সাধারণ সম্পাদক) থেকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। এদিন বিকেল ৫টায় দুই সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে সভা আহ্বান করেছে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ড। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশমতো সেই সভার মূল দায়িত্ব পালন করছেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান। সোহানুর রহমান জানান, জায়েদ খান ও চুন্নু ছাড়া বাকি সকল পদের ফলাফল অপরিবর্তিত থাকবে। চুন্নুর স্থলে নাদির খানকে কার্যকরী পরিষদের





সদস্য ঘোষণা করা হলো। তিনি জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন কারও অভিযোগ আমলে না নিয়ে একতরফাভাবে ফল ঘোষণা করেন। জায়েদ খানের কাছে অর্থ পাওয়ার বিষয়টি দু’জন ভোটার আমাদের জানিয়েছে। এছাড়া, কিছু ভিডিও ফুটেজে আমরা এর প্রমাণ পেয়েছি। যা গঠনতন্ত্রের ১০ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এজন্য তার প্রার্থিতা বাতিল করা হলো। আর ১৬৩ ভোট পাওয়া সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুন আক্তারকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করা হলো। এ সময় তার পাশে ছিলেন নিপুন আক্তার ও তার সমর্থকরা। তারা উল্লাস প্রকাশ করেন। বৈঠক শুরুর কিছু আগেই নিপুনের বেশ কয়েকজন সমর্থক ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার চাই’সহ বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। এছাড়া শরীরে ‘নিরপেক্ষ বিচার চাই’ লিখে এবং ‘গ্যাঞ্জামমুক্ত এফডিসি চাই’ প্ল্যাকার্ড নিয়েও এফডিসি প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন তারা। উল্লেখ্য, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২৮ জানুয়ারি আর ফল প্রকাশিত হয় ২৯ জানুয়ারি ভোরে। সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হন জায়েদ খান এবং পরাজিত হন নিপুণ। সাধারণ সম্পাদকের বাতিল ভোট যাচাই এবং পুনর্গণনার জন্য আপিল করেন নিপুণ।