আলোচিত খবর

একাধিক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায়, স্ত্রীকে খুন করে পালিয়ে আসেন স্বামী

প্রথম বিয়ে গোপন রেখে মােসা. মুক্তা বেগমকে (২৭) বিয়ে করেন স্বামী

মাে. সােহাগ (২৭)। বিষয়টি পরে দ্বিতীয় স্ত্রী মুক্তা জানতে পারলে এবং

একাধিক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় বাধা দিলে স্ত্রীকে খুন করেন স্বামী। খুন করেই সোহাগ পালিয়ে চলে আসেন চট্টগ্রামে। ​বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ডিএমপির পল্লবী থানা এলাকা থেকে আসামি মাে. সােহাগকে গ্রেফতার করে সিআইডি। বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানিয়েছেন, মুক্তা বেগম ও সোহাগ উভয়ই সিদ্ধিরগঞ্জে পৃথক দুটি কারখানায় চাকরি করতেন। অন্য এক

গার্মেন্টস কর্মীর মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে মুক্তা বেগম ও সোহাগের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা ২০১৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ৫ লাখ টাকা কাবিনে স্থানীয় কাজীর মাধ্যমে বিয়ে করে ভাড়া বাসায় সংসার শুরু করেন। ২০২১ সালে মুক্তা অন্তঃসত্ত্বা হলে তার গর্ভপাত করানো হয়। এর আগে ২০১৫ সালে পটুয়াখালীর বাউফল থানার কনকদিয়া গ্রামের বিলকিস বেগমের সঙ্গে সোহাগের প্রথম বিয়ে হয়। ওই সংসারে তার ৫ বছরের একটি সন্তান আছে। প্রথম বিয়ের বিষয়টি মুক্তা বেগমকে না জানিয়ে বিলকিস বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ এবং বিবাহবহির্ভূত অন্য একটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সোহাগ। এসব বিষয়ে সোহাগকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মুক্তা বেগম। এতে তাদের মধ্যে কলহ হয়। এর জের ধরে মুক্তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন সোহাগ। লাশ ঘরের মেঝেতে রেখে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ঘর তালাবদ্ধ করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চট্টগ্রামে পালিয়ে যান তিনি। ঘটনার পর পরই ভিকটিমের চাচা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ২৫ জানুয়ারি মামলা করেন। মামলার সূত্র ধরেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

Related Articles

Back to top button