দেশের-খবর

প্রবাসী স্বামীকে নিঃস্ব করে বাড়ির কাজের ছেলের সঙ্গে পালালেন স্ত্রী

কাজের ছেলের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে স্বামী জাকির হোসেনকে

ডিভোর্স দেন মেহেরুননেসা সুমি। পরে সেই পরকীয়া প্রেমিককে বিয়ে করে

সংসার শুরু করেন তিনি। তবে হঠাৎ করেই জাকির হোসেনের কাছে আবারো ফিরে

আসেন মেহেরুননেসা সুমি। জাকির হোসেনও তাকে গ্রহণ করেন। তারা আবারো সংসার শুরু করেন। কিন্তু স্ত্রী সুমি ফিরে আসার পেছনে ছিল অন্য পরিকল্পনা। যা কয়েকদিন পরই বুঝতে পারেন জাকির। কিন্তু ততদিনে জাকিরের অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার সব লুটে নিয়েছেন সুমি। ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার গাবতলী এলাকায়। যেখানে দুই কন্যা সন্তান রেখে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী তার স্বামীর প্রবাস জীবনের উপার্জিত সহায় সম্বল নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে উধাও হয়েছেন। গত (২ জানুয়ারি) উপজেলার দুর্গাহাটা ইউনিয়নের বাইগুনি মধ্যপাড়া গ্রামে ঘটে এ ঘটনা। গৃহবধূর স্বামী জাকির হোসেন গাবতলী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালে

জাকির সৌদিতে জীবিকার তাগিদে যান। পরের বছর ২০০৮ সালে দেশে ফিরে তিনি নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার হরিতকি ডাঙ্গা গ্রামের ইদ্রিস আলী’র মেয়ে মেহেরুননেসা সুমিকে বিয়ে করেন। বিয়ের তাদের সংসার ভালো চলছিলো। তিনি প্রতি বছর সৌদি থেকে একবার দেশে আসতেন পরিবারকে সময় দিতে। তাদের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ২০১৬ সালে দেশে ফিরে প্রবাস জীবনে আর ফিরবেন না এমন চিন্তা করে গ্রামেই একটি মুদিখানার দোকান খুলে বসেন। কিন্তু ব্যবসায় লোকসান হওয়ায় তিনি ২০১৮ সালে আবারও সৌদিতে ফিরে যান। ২০১৯ সাল পর্যন্ত তাদের স্বামী স্ত্রীর মাঝে সম্পর্ক গভীর ছিলো। স্ত্রীর কোন অভিযোগ ছিলো না। কিন্তু হঠাৎ করেই জাকিরের কাছে সুমি প্রায় সময় তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করতে শুরু করে। এ নিয়ে তাদের মাঝে মনোমালিন্য দেখা দেয়। কিন্তু সুমি অন্য পুরুষের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার কারণে এমনটি করছে বুঝতে পারেনি জাকির। ২০২০ থেকে দেশে ফেরার চেষ্টা করলেও ফিরতে পারেননি জাকির। পরে চলতি বছরের ২ জানুয়ারি জাকির বাড়ী ফেরার পর জানতে পারে তার স্ত্রী সেদিনই দুই কন্যাকে রেখে অন্যের হাত ধরে পালিয়েছে। জাকির হোসেন জানান, তার স্ত্রী সুমি প্রতিবেশি আব্দুস সোবহান মুকুলের ছেলে জিহাদ ইসলামের সাথে পালিয়ে গেছে। তিনি তার স্ত্রীর কোনো অভাব রাখেননি। একটা বাড়ি, ২৫ শতক জায়গা, ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, তিনটি ডিপিএসে ৫ লাখ টাকা জমা করেছিলেন সুমি’র নামে। বাড়িতে নগদ সাড়ে ৪ লাখ টাকা ছিলো। যাওয়ার সময় সে সব কিছু নিয়ে তাকে নিঃস্ব করে গেছে। শুধুমাত্র বাড়িটি তার দুই মেয়ের নামে লিখে দিয়ে গেছে। জিহাদ তাদের বাড়িতে কামলা’র কাজ করতো। বাড়ীতে তার আসা যাওয়া ছিলো। কিন্তু এরকম ঘটনা ঘটবে তিনি কখনও চিন্তাও করেননি। তারা দু’জনে বিয়ে করে বগুড়া শহরে বসবাস করছে। প্রবাস জীবনে কষ্ট করে উপার্জনের সমস্ত টাকা নিয়ে সে আমাকে নিঃস্ব করে গেছে। আমি এর বিচার চাই। আমার টাকা পয়সা ফিরিয়ে চাই। থানায় অভিযোগ করেছি অনেক দিন হলো। এখনও পর্যন্ত থানা থেকে আমার টাকা পয়সা উদ্ধারে কোন সহযোগিতা করা হয়নি। এ বিষয়ে গাবতলী থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জামিরুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরে আমরা মেয়েকে তার স্বামীর নিকট নিয়ে এসে দিয়েছি। সে আবার চলে গেছে। তবে টাকা ও গহনা নিয়ে গেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Related Articles

Back to top button