আলোচিত খবর

ওসি প্রদীপকে নিয়ে ‘চাঞ্চল্যকর তথ্য’ দিলেন লেগুনাচালক-চা দোকানি

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলায় বরখাস্ত হওয়ার আগে টেকনাফ

মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ অনেক অপকর্ম করেছেন। তবে বর্তমানে বদলে

গেছে থানার পরিস্থিতি। আগের মতো মানুষ মারা যায় না, বিনাদোষে গ্রেফতার কিংবা

নির্যাতনের শিকার হয় না। ওসি প্রদীপের অপকর্ম নিয়ে ‘চাঞ্চল্যকর তথ্য’ দিয়েছেন টেকনাফের একজন লেগুনাচালক ও একজন চা দোকানি। প্রদীপ ওসি থাকাকালে আহত-নিহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে আনা-নেয়ার কাজ করতেন স্থানীয় লেগুনাচালক আবদুল মোনাফ। তিনি বলেন, ওসি প্রদীপ থাকতে প্রতিরাতেই লাশ টানতে হতো। বন্দুকযুদ্ধে আহত-নিহতদের হাসপাতালে আনা-নেওয়া করতাম। এখন এসব নেই। থানা বদলে গেছে। থানার পাশের দোকানি বাদশা মিয়া জানান, ওসি প্রদীপ থাকতে থানার মেইন

গেটের বাইরে লোকজন কান্নাকাটি করত। এখন বন্দুকযুদ্ধের কাহিনীও নেই, মৃত ব্যক্তিদের স্বজনদের কান্নাকাটির দৃশ্যও আর দেখতে হয় না। অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম জানান, ওসি প্রদীপ দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারে চাঁদাবাজি, ক্রসফায়ার ও গুমসহ ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড করে আসছিলেন। এখন আর নিরীহ মানুষকে ভুগতে হয় না। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পাঁচদিন পর ৫ আগস্ট ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় র‍্যাব। ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ২০২১ সালের ২৭ জুন ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ২৩ আগস্ট কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং জেরা শুরু হয়। এ প্রক্রিয়া শেষ হয় গত ১ ডিসেম্বর। এ মামলায় মোট ৬৫ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। গত ১২ জানুয়ারি রায় ঘোষণার দিন হিসেবে ৩১ জানুয়ারি ধার্য করা হয়।

Related Articles

Back to top button