আলোচিত খবর

মনে হচ্ছে আমি বড় হয়ে গেছি: দীঘি

ঢাকার সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন প্রার্থনা

ফারদিন দীঘি। অভিনয় করেছিলেন প্রায় দেড় ডজন সিনেমায়। তবে এতদিন

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য ছিলেন না তিনি। সম্প্রতি সংগঠনটির সদস্য

হয়েছেন দীঘি। আবার কয়েকদিন পরই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শিল্পী সমিতির নির্বাচন। সুতরাং এবারই প্রথম ভোট দেবেন এই তরুণ নায়িকা। এদিকে শিল্পী সমিতির ভোটার হওয়া ও ভোটের আমেজ প্রসঙ্গে দীঘি বলেন, ছোটবেলা থেকে শিল্পী সমিতির নির্বাচন দেখে আসছি। আমার বাবা (অভিনেতা সুব্রত) সবসময় নির্বাচনে অংশ নেন। এবারও তিনি প্রার্থী হয়েছেন। বাবাকে বলতাম কবে আমি ভোটার হয়ে ভোট দিতে পারবো? দীঘি বলেন, ‘বাবার জন্য অন্যান্যবার নির্বাচনী ক্যাম্পেইন করেছি। ভোট চেয়েছি। এবার নিজে ভোট দিতে পারবো এ কারণে আমি খুবই এক্সাইটেড। এর আগে হয়তো চাইলে ভোটার হতে পারতাম। কিন্তু বাবা কেন জানি আমাকে সদস্য করেনি। বাবা সবসময়

বলতেন, আস্তে ধীরে ভোটার হওয়া যাবে।’ দীঘি আরও বলেন, ‘২৮ জানুয়ারির নির্বাচনে যারা অংশ নিচ্ছেন প্রত্যেকেই তার আপনজন। সবাই আমাকে স্নেহ করেন। সবাই আমার কাছে ভোট চাইছেন এতে খুব ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে আমি বড় হয়ে গেছি। আমাকে এখন দায়িত্ব নিয়ে যোগ্য মানুষ যাচাই করে ভোট দিতে হবে। আমি মনে করি যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন দুই প্যানেলের প্রত্যেকেই কমবেশি যোগ্য মানুষ।’ এবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে লড়ছে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপূন এবং মিশা সওদাগর-জায়েদ খান দুটি প্যানেল। দীঘির বাবা সুব্রত মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে ‘সহ-সাধারণ সম্পাদক’ পদে নির্বাচন করছেন। এ সময় দীঘি বলেন, ‘বাবার জন্য প্রতিবার ভোট চাই। এবারও তাই করছি। এবার আমি ভোটার হয়ে বাবাকে দুষ্টুমি করে বলেছি, আমাকে এটা ওটা দাও নইলে কিন্তু তোমাকে ভোট দেব না! বাবাকে আমি কখনও নির্বাচনে হারতে দেখিনি। তিনি সবসময় তার কর্মগুনে জয়ী হয়েছেন। আমি মনে করি আমার ভোট চাওয়ার জন্য বাবা জিতে যায় এমনটা নয়। তিনি সকলের পছন্দের মানুষ। তাকে আপন মনে করে প্রতিবার সবাই ভোট দেয়।’’

Related Articles

Back to top button