৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর দাবি বাস মালিকদের






করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সংক্রমন রোধে আগামী শনিবার





(১৫ জানুয়ারি) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে সড়কে বাস





চলাচল করবে। তবে এ ক্ষেত্রে নতুন করে ভাড়া বাড়ানো হয়নি। বিদ্যমান





ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করবেন বাস মালিকরা। এদিকে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ মোকাবিলায় গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার সরকারি নির্দেশনার পরই বাসভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রামের বাস মালিকেরা। আজ বুধবার (১২ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ। চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি খোরশেদ আলম ও মহাসচিব মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ১৩ জানুয়ারি থেকে সরকার সারাদেশে ১১টি জরুরি বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে। সরকারের সব বিধিনিষেধের প্রতি বাস মালিকেরা আন্তরিক। কিছুদিন আগে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে ভাড়া নিয়ে সৃষ্ট





অচলাবস্থার অবসান হয় এবং স্বাভাবিক হয় যান চলাচল। বিবৃতিতে বাস মালিকরা বলেন, এর আগে লকডাউনের সময় প্রতি সিটে একজন করে যাত্রী বহন করা হয়। ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে ধার্য করা হয়। এতে মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও দেশের স্বার্থে তা মেনে নেন। এবারও সকল প্রকার স্বাস্থ্য বিধি মেনে গণপরিবহন সচল রাখতে হলে পূর্বের সিদ্ধান্ত কার্যকর করে সিট প্রতি একজন ও ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্তে আসতে হবে। পাশাপাশি করোনা থেকে সকল প্রকার যাত্রীদেরকে সুরক্ষা করার স্বার্থে প্রত্যেক সিএনজি, টেম্পু, কার, ভাড়ায় চালিত মাইক্রোদেরকেও স্বাস্থ্যবিধির আওতায় আনার দাবি জানান পরিবহন মালিক গ্রুপ। তারা বলেন, শুধু গণপরিবহনের উপর নিয়ন্ত্রণ রেখে অন্যান্য ভাড়ায় চালিত গাড়িকে স্বাস্থ্য বিধির নিয়ন্ত্রণের বাইরে রাখলে মহামারি নিয়ন্ত্রণে সরকারের উদ্যোগ সফল হবে না। এদিকে গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার সরকারি নির্দেশনার অজুহাতে কোনোভাবেই যেন পরিবহন মালিকেরা নতুন করে ভাড়া না বাড়ায়, বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি এ দাবি জানিয়েছে। একইসঙ্গে ভাড়া বাড়ানোর যে কোনো ধরনের পাঁয়তারা বন্ধের দাবিও জানানো হয়েছে। এর আগে গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৩ জানুয়ারি থেকে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে এ নির্দেশনার পর থেকেই ভাড়া বাড়ানোর জন্য সরকারের ওপর চাপ দেওয়া শুরু করেন বাস মালিকরা। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রধান কার্যালয় বনানীতে আজ (১২ জানুয়ারি) দুপুরের পর সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে বৈঠকে বসে বিআরটিএ। ওই বৈঠকে, বাসভাড়া না বাড়িয়ে যাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।