জুবায়েরের সাহসকিতায় বেঁচে গেল পরিবারের ৯ জন






বরগুনা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র জুবায়ের।





ঝালকাঠিতে অভিযান-১০ লঞ্চে যখন আগুন লাগে তখন তৃতীয় তলায়





৩৭১ নং কেবিনে একই পরিবারের ৪ জন ঘুমিয়ে ছিলেন। সেখানে ছিলেন জুবায়ের, তার মা, ছোট বোন তামান্না ও ছোট ভাই জাযিব। এছাড়া জুবায়েরের নানী, মামীসহ ৫ জন নিচ তলার স্টাফ কেবিনে ছিল। সেদিনের লঞ্চের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা নিয়ে জুবায়ের বলেন, লঞ্চটিতে আগুন ধরার পর হঠাৎ যাত্রীদের ডাক চিৎকার শুনে ঘুম ভাঙে। এরপর বের হতে চাইলে দেখতে পাই কেবিনটি বাহির থেকে আটকানো। অনেক চেস্টা করে একপর্যায়ে দরজা ভেঙে বের হতে সক্ষম হই। জুবায়ের কান্নাজড়িত কন্ঠে আরো





বলেন, বাহিরে বের হয়ে দেখি শুধু আগুন জ্বলছে। তখন ঘড়িতে রাত ৩ টা ১১ মিনিট। পরিস্থিতি খারাপ বুঝেই জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করলে তারা লোকেশন জানতে চান, পরে লঞ্চ মাস্টারের কাছে গিয়ে জানতে পারলাম লঞ্চটি এখন ঝালকাঠিতে, তখন আবার ৩ টা ২২ মিনিটে ৯৯৯ এ ফোন করে জানাই যে ঝালকাঠির কথা। তারা বললেন আমরা জানতে পেরেছি আমরা প্রস্ততি নিচ্ছি। এরপর জীবন বাচাতে নিজের ছোট ভাইকে কোলে নিয়ে বেধে লঞ্চের রেলিং বেয়ে নিচ তলায় এসে মা-বোনকে তৈরি হতে বলে নদীতে ঝাপ দিয়ে সাতার কেটে ওপারে গিয়ে স্থানীয় দুই জনের কাছে ভাইকে রেখে আবারও লঞ্চে যান জুবায়ের। তারপর সেখান থেকে মা, বোনকে উদ্ধার করে সাতার কেটে তীরে উঠেন সকলে। জুবায়ের বলেন, আগুনের লেলিহান শিখায় অনেককেই দগ্ধ অবস্থায় দেখতে পাই। জুবায়ের জানান, লঞ্চে একজন মাকে তার ছোট শিশু সন্তানকে নিয়ে সাহায্যর জন্য কাঁদতে দেখতে পাই। পরে সেই শিশুকে কোলে নিয়ে সাতরে আমি তীরে যাই এবং শিশুটির মাকে একজনের সঙ্গে নদী সাতরে আসতে বলি। পরে তিনিও লঞ্চ থেকে নেমে সাতরে পারে উঠতে সক্ষম হন।