নির্বাচনে হেরে গেলেন গোলাম রাব্বানীর মামা






চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে হারলেন ছাত্রলীগের





সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর মামা সালাহ উদ্দিন





আহমেদ।মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়েছেন তিনি। সেখানে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ মোল্লা। রাজৈর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাননী খান রাত ১০টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন। ফলাফলে মোশারফ মোল্লা পেয়েছেন ৩ হাজার ২৬২ ভোট আর সালাউদ্দিন পেয়েছেন ২ হাজার ৫০৫ ভোট। গতকাল রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে রাজৈর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাননী খান ফল ঘোষণা করেন। এর আগে রোববার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার মাদারীপুরে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলার শিকার হয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম





রাব্বানী। দিকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হামলার হওয়ার পর সাংবাদিকদের ঘটনার কথা জানান। গোলাম রাব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে মোশারফ মোল্লার লোকজন প্রকাশ্যে ভোট কেটে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। পরে আমিসহ কিছু লোক গিয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করলে, আমাকে অস্ত্র দিয়ে কোপ দেওয়া হয়। এবিষয়ে আমি থানায় অভিযোগ করব। ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, কেন্দ্রের ভেতর তেমন কোনো কিছু হয়নি। কেন্দ্রের বাইরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আমি আর কিছু জানি না। বাইরে কিছু হলে সেটা তো আমার দেখার বিষয় নয়। রাজৈর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ সাদিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর মামা সালাউদ্দিন মিয়া চেয়ারম্যান পদে (গিটার মার্কা) নির্বাচন করছেন। রাব্বানী তার মামার নির্বাচনের জন্য ৭ নং শাখার পাড় কেন্দ্রে বার বার প্রবেশ করেন। পরে পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করে। স্থানীয়রা জানান, ইউপি নির্বাচনে ইশিবপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানীর মামা সালাহ উদ্দিন আহমেদ চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। মামার পক্ষে বেশ কিছুদিন তিনি প্রচার চালিয়েছেন। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গাংকান্দি সরকারি বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রতিপক্ষ মোশারফ মোল্লার লোকজন ভোট কারচুপি ও জাল ভোট দিচ্ছেন অভিযোগ শুনে রাব্বানী সেখানে যান। পরে সে কেন্দ্রের সামনে আসলে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর ছেলে সোহেল মোল্লা তার ওপর চড়াও হন। এক পর্যায়ে তাকে ছুরি দিয়ে কোপ দেয়। হামলা ঠেকাতে গিয়ে তার ডান হাতের দুটি আঙুল কেটে যায়। পরে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের আরও চার থেকে পাঁচজন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা রাব্বানীসহ অন্যদের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। রাব্বানীর হাতে সেলাই দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।