ধর্ষণের শিকার পর্যটক তিন মাস ধরে কক্সবাজারেই ছিলেন: পুলিশ






কক্সবাজার সৈকতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার নারী পর্যটকের সঙ্গে





পূর্ব পরিচিত ছিলেন ঘটনার মূলহোতা ও মামলায় অভিযুক্ত আশিকুল





ইসলাম আশিক। ঢাকা থেকে বেড়াতে আসার কথা বললেও তিন মাস ধরে কক্সবাজারে অবস্থান করছিলেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে ভুক্তভোগী পর্যটকরা স্বীকার করেছেন। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, ভুক্তভোগী নারী এবং তার স্বামীকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী তিন মাস ধরে কক্সবাজারে অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। এছাড়াও এ মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলামের সঙ্গে তার (নারীর) পূর্ব পরিচয় থাকার কথাও স্বীকার করেছেন। আশিক কক্সবাজার শহরের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী এবং ১৬টি মামলার





আসামি। তিনি মাদক সেবক ও মাদক ব্যবসায়ী। এ ধরনের একজন অপরাধীর (আশিকের) সঙ্গে বাইরের আরেকজন নারীর পরিচয় থাকা সন্দেহজনক। আমরা বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি এবং ঘটনার গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করছি, যোগ করেন তিনি। ঘটনাটি শুধু একপক্ষের কথা শুনে তদন্ত করলে হবে না। যে অভিযোগটি উঠেছে তার পক্ষে-বিপক্ষে আমরা উভয় দিক বিবেচনা করে তদন্ত কাজ চালাচ্ছি, বলেন জিল্লুর রহমান। পুলিশ জানায়, আশিকের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হত্যা, ছিনতাই, নারী ও শিশু নির্যাতন, অস্ত্র, মাদকসহ মোট ১৬টি মামলা রয়েছে। সবশেষ গত ৭ নভেম্বর একটি ছিনতাই মামলায় পুলিশ আশিককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। পরে চলতি মাসে জামিনে বের হয়ে আসেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন। আশিকুল ইসলামসহ এজাহারে চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া তিনজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- আশিকের দুই সহযোগী ইস্সল খুদা ওরফে জয় ও মেহেদী হাসান ওরফে বাবু এবং রিসোর্টের ব্যবস্থাপক রিয়াজ উদ্দিন। এর মধ্যে রিয়াজ উদ্দিনকে গত বুধবার রাতে আটক করে র্যাব। ঘটনার পর থেকে মামলার অন্য আসামিরা আত্মগোপনে আছেন। আশিকের সঙ্গে রিয়াজের চেনা জানা ও বন্ধুত্ব রয়েছে।