বিনোদন

মুনমুনকে প্রচুর হেইট করতাম, এরা এসে পরিবেশ নষ্ট করেছে: নাসরিন

সম্প্রতি নব্বই দশকের সিনেমায় জনপ্রিয় অভিনেত্রী নাসরিন কথা

বলেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ক্যারিয়ার নিয়ে। সেখান

থেকে কিছু অংশ পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো। সিনেমায় পরিবেশ নষ্ট করা নিয়ে নাসরিন বলেন, আমি মুনমুনকে প্রচুর হেইট করতাম। এরা এসে পরিবেশ নষ্ট করে দিয়েছে। কিন্তু দেখলাম যে না ওকে (মুনমুনকে) আসলে প্রযোজকরা হাফপ্যান্ট পরতে বলত। মুনমুন কান্না করতো ডিপজল ভাইয়ের বাসায়। বলত, সিনেমায় কাজ করতে এসেছি কী আপনাদের এই নোংরা কাপড় পরার জন্য? তখন ওরা (প্রযোজকরা) বলত এটা পরলে পরো না পরলে চলে যাও। তখন মুনমুনের ওপর আমার শ্রদ্ধাবোধ বেড়ে যায়। এরপর থেকে আমি মুনমুনের সাথে কথা বলা শুরু করি। চলচ্চিত্র বাহির থেকে যতটা চকচকে, ভেতরটা আসলে ফাঁকা। আমার ধ্যান-জ্ঞান সব কিছু চলচ্চিত্র।

আমাকে কোটি টাকা দিলেও আমি এটা ছাড়তে পারব না। সবার আগে প্রাধান্য দিয়েছি আমি শিল্পী, আমার কাজ আগে। নিজের অতীত নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে নাসরিন বলেন- শুধু মাত্র চলচ্চিত্রকে ভালোবেসে অনেক পরিচালক, অভিনিয় শিল্পী ও টেকনিশিয়ানরা মুড়ি খেয়ে থেকেছে। মুখ ফুটে কখনোও কিছু বলেনি। কেয়ামত থেকে কেয়ামত সিনেমার শুটিংয়ে সালমান ভাই আমাকে মুটকি বলায় আমি তাকে ঢিল মেরেছিলাম, তখন আমি উনাকে চিনতাম না। ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবিতে শাবনাজের নায়িকা থাকার কথা। শিডিউলের কারণে মৌসুমিকে নিয়েছে পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান। তিনি বলেন, শুরুটা হয়েছিল দিলদার ভাইয়ের সাথে তাই আমাকে কেউ নায়িকা হিসাবে নিতে চাইতো না। অনেক নায়ক বলতো ও তো দিলদারের নায়িকা ওর সাথে অভিনয় করবো না। ওর সাথে অভিনয় করলে আমার ক্যারিয়ারের সমস্যা। অভিনয় জীবনে আমাকে কেউ খারাপ করতে পারেনি। দীর্ঘ ২৮ বছরে আমি কারও সাথে আপোষ করিনি। ইন্ডাস্ট্রিতে জোর করে কিছু হয় না। আইটেম গানগুলো আমি করতে চাইতাম না। আইটেম গান করতাম শুধু একটাই কারণে, আমি বসুন্ধরায় ফ্লাট কিনেছিলাম। সেই টাকা আমি কিস্তিতে পরিশোধ করতাম। একটানা ২০ বছর আইটেম গানে কাজ করে কখনও ১৫-২০ হাজারের বেশি সম্মানী পাইনি। অশ্লীলতার সময় প্রযোজকরা কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে। বাধ্য হয়ে আমরা কাজ করেছি।

Related Articles

Back to top button