বলতে পারেন সুইমিংপুলের মেয়েটি কে?






সাগরের তীরঘেঁষে একটি হোটেলের সুইমিংপুল, পানিপূর্ণ সুইমিং পুল





যেন ওপারের জলরাশির সঙ্গে মিলেমিশে এক হয়ে গেছে। চোখে ভ্রম তৈরি





করা সেই পুলে যে তরুণীটি আকাশের দিকে নির্নিমেষ তাকিয়ে রয়েছেন। গোধূলি বেলার ছবিতে যে তরুণী জলের মাঝে ভেসে রয়েছেন তার বয়স কত? বলতেই পারেন এই প্রশ্ন কেন, কারণ নিশ্চই আছে। নাটকে মায়ের চরিত্রে অনবদ্য, অবশ্য ব্যাচেলর পয়েন্টে ধারাবাহিকে তিনি নিজেকে একটু অন্যভাবেও উপস্থাপন করতে পারেন। আবার হুমায়ূন আহমেদের নাটকেই এই তিনি যেন হয়ে ওঠেন ঠোঁটকাটা। তিনি মনিরা মিঠু, এখন যেন মনেপ্রাণে তরুণ। তরুণ অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে তার দারুণ সখ্য। যার





প্রতিফলন পাওয়া যায় তার চেহারায়। আর মনিরা মিঠু বলেই বয়সের কথা এসেছে, কেননা ছবির মানুষটি যে মনিরা মিঠু এটি কে বিশ্বাস করতে চাইবে? হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত টেলিভিশন নাটক “অপেনটি বায়োস্কোপ” দিয়ে তিনি তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করেন। এরপর ক্যারিয়ারে যুক্ত হয়েছে দুই দশক। এদেশের টেলিভিশন নাটকের দর্শকদের মনে পোক্ত জায়গা তৈরি করে ফেলেছেন। ২০ বছর ক্যারিয়ারের পূর্ণ করলেও এখনো যেন সেই তরুণ বয়সেই থেকে গেলেন এই অভিনেত্রী। ভাই অভিনেতা চ্যালেঞ্জারের হাত ধরে এসেছিলেন শোবিজ দুনিয়ায়, কিন্তু তাঁর এখনকার সাফল্য দেখে যেতে পারেননি। এটাই মনিরা মিঠুর আফসোস। এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ভাইজান আমার আজকের সাফল্য দেখে যেতে পারলেন না। বিষয়টি আমার কাছে অনেক বেশি আফসোসের বিষয়। যদি দেখতেন হয়তো শিশুর মতো অঝরে কাঁদতেন। তিনি অসুস্থ থাকাকালীন যখন কথা বলতে পারতেন না, তখন রেদওয়ান রনির পরিচালনায় ‘জননী সাহসিনী ১৯৭১’ নাটকে আমার আশি বছরের অন্ধ বৃদ্ধার চরিত্র দেখে ভাইজান শুধু আঙুল দিয়ে দেখাতেন আর কাঁদতেন। কিভাবে আমি এমন চরিত্র করতে পারলাম ওটাই বোঝাতেন! সেই ১২ বছর আগে কথা, তখন আমার বয়স ছিল অল্প, অভিনয়েও ছিলাম নতুন। তবে ২০০৮ সালে ‘মেরিল-প্রথম আলো’ সেরা সমালোচক পুরস্কার পেয়েছিলাম; সেই সাফল্য ভাইজান দেখেছিলেন। কিন্তু আজকের এতো এতো সাফল্যে তিনি দেখে যেতে পারলেন না। ২০০৮ সালে এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি নাটকে অভিনয় করে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের সমালোচক শাখায় সেরা টেলিভিশন অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কার অর্জন করেন।